, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪ , ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যে দেয়া গরু কেড়ে নিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

  • আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৪ ১০:৪৯:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৪ ১০:৪৯:৩১ পূর্বাহ্ন
ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যে দেয়া গরু কেড়ে নিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
এবার নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় এক জেলের কাছ থেকে মৎস্য বিভাগের বরাদ্দ পাওয়া একটি গরুটি কেড়ে নিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার।

গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পটুয়াখালীর দুমকিতে ওই প্রার্থীর কর্মীরা গরু কেড়ে নেন। ওই জেলের নাম মো. বশির খান। তিনি অসচ্ছল হওয়ায় সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যে একটি গরু পেয়েছিলেন।

এদিকে উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বশির খান। তিনি অসচ্ছল জেলে হওয়ায় তাকে সরকারি বরাদ্দের একটি গরু দেয় উপজেলা মৎস্য বিভাগ। গত বুধবার দুপুরে তাকে গরুটি দেওয়া হয়।

গরু নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার মোবাইল ফোনে তার পক্ষে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তার কর্মীরা গরুটি কেড়ে নেন।

জেলে বশির খানের অভিযোগ, গরুর বিনিময়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার তার মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গরুটি ফেরত চাইলে তিনি উপজেলায় গিয়ে গরুটি ফেরত দিয়ে আসেন। গরুটি এখন উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হাওলাদার বলেন, ‘অভিযোগটি শতভাগ মিথ্যা। আমি তাকে মৎস্য বিভাগ থেকে একটা গরু দিয়েছি। সে কিছু করে খাক এবং তাকে আমার ক্যাম্পেইন করতে রিকোয়েস্ট করেছি। তখনো সে বলেছে, এখনো কারও সঙ্গে নামে নাই। তবে নামবে। এর বেশি কিছু হয়নি।’

গরু কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে বলেন, ‘গরু কি তার যে সে তাকে ফেরত দেবে।’ তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে সেই গরুটি কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হাওলাদার।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য বিভাগের ফিল্ড অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দে বশির খান নামের এক জেলেকে একটি গরু দেওয়া হয়েছে। তিনি গরুটি রিসিভ করে নিয়েও গেছেন। পরে শুনেছি উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে ফেরত দিয়েছেন। তবে, কেন ফেরত দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছুই জানি না।’

এ বিষয়টি ইউএনও মো. শাহীন মাহমুদকে জানালে তিনি বলেছেন, ‘গরুটি বশির খানকে দেওয়া হয়েছে। গরুর মালিক সেটি কোথায় রাখবেন, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
সর্বশেষ সংবাদ
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী